Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৫ অক্টোবর ২০২৩

অধ্যক্ষ(ভারপ্রাপ্ত)

মোঃ শওকত হোসেন

অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত)

ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট।

বর্তমান যুগ, বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তির যুগ। বিজ্ঞানের তথ্য ও তত্ত্বকে কাজে লাগিয়ে প্রযুক্তির দ্বারা নব নব আবিষ্কার সমর্থ বিশ্বকে শিকর হতে শিখরে উন্নীত করেছে। ফলে বর্তমান বিশ্বে কারিগরি শিক্ষার অবদান অনস্বীকার্য। ময়মনসিংহ বিভাগের খ্যাতনামা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যক্রম পরিচালনায় অন্যতম, ব্যতিক্রমধর্মী ও সময়োপযুগী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দাবীদার। এই দাবীকে সামনে রেখে “একটাই লক্ষ্য, হতে হবে দক্ষ” শ্লোগানকে বাস্তবায়ন করতে প্রতি বছর প্রতিষ্ঠানটি দক্ষ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার তৈরি করে চলেছে সমাজ, দেশ তথা জাতির পতাকাকে বিশ্বের বুকে চির সমুন্নত রাখতে।
 
বর্তমান সরকার সুখী, সমৃদ্ধ, ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত বৈষম্যহীন ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভিশন-২০২১ পরিকল্পনা সফল করে। ফলশ্রুতিতে জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন পর্যায়ক্রমে আগামী ২০৩০ সালে কারিগরি শিক্ষার হার ৩০% এবং এসডিজি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে ২০৪০ সালে ৫০% এ উন্নীত করা হবে। কারিগরি শিক্ষা গ্রহণে বাংলাদেশের জনসংখ্যার সিংহভাগ যুবসমাজ জনশক্তিতে পরিণত হবে। কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত দক্ষ জনবল আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে; যা ইন্ডাস্ট্রি লিংকেজের মাধ্যমে দেশের সার্বিক উন্নয়নে নিযুক্ত হবে। ফলে ২০৪১ সালে এ দেশ উন্নত ও সমৃদ্ধশালী স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত হবে।
 
বিশ্বায়নের এই যুগে যখন সমগ্র বিশ্ব সীমানাহীন মুক্তবাজারে পরিণত হয়েছে, ঠিক সেই শুভ মুহূর্তে কারিগরি শিক্ষার প্রসারে দক্ষ জনবল গঠনে বিশেষ ভূমিকা রেখে বিশ্বের চলার ছন্দে তাল মিলিয়ে এগিয়ে চলেছে প্রতিষ্ঠানটি। বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গণতন্ত্রের মানসকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করতে ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট বদ্ধপরিকর। দক্ষ, যোগ্য, মেধাবী শিক্ষক-কর্মচারীদের সমন্বয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর ব্যবহারিক-বৃত্তিমূলক ও কর্মমূখী শিক্ষাদানের মাধ্যমে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে দক্ষ জনসম্পদে রূপান্তিত করে চলেছে। এই মর্মে বাংলাদেশ সরকার কারিগরি শিক্ষায় মেধা বৃত্তি প্রদানসহ নানাবিধ সহযোগিতা করে যাচ্ছে।
 
আসুন, আমরা যুগের দাবীকে পূরণ করতে, দেশ-জাতিকে উন্নত করতে, নবাগত তরুণ প্রজন্মকে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলি। এই দক্ষ জনবল দেশ-বিদেশের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের মাধ্যমে বিশ্বের বুকে বাংলার মানচিত্রকে চির সমুজ্জ্বল করবে।