বিভাগের সংক্ষিপ্ত শ্লোগান: “ইলেকট্রনিক্সের অঙ্গীকার,
৪র্থ শিল্প বিপ্লবে দেশ গড়ার অংশীদার।”
বিভাগের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি : ৩য় শিল্প বিপ্লব (3IR) এবং ৪র্থ শিল্প (4IR) বিপ্লবের সমৃদ্ধ দেশ গড়ার। অংশীদার হিসাবে ১৯৯৫ সালে ময়মনসিংহ পলিটেকনিকে ইলেকট্রনিক্স বিভাগের যাত্রা শুরু হয়। কার্যক্রম : ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং ইন ইলেকট্রনিক্স টেকনোলজি (৪ বছর মেয়াদী কোর্স)।
শিক্ষকদের ভূমিকা : শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। একটি জাতির উন্নয়নে শিক্ষা যেমন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন। করে ঠিক তেমনিভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে শিক্ষকের ভূমিকা অপরিসীম। একজন শিক্ষকই পারে ছাত্রদের সঠিক শিক্ষাদানের মাধ্যমে তাদের শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে। আমাদের ইলেকট্রনিক্স বিভাগের স্বনামধন্য শিক্ষকগণ বিটিইবি কর্তৃক প্রণীত প্রবিধান এবং সিলেবাসের আলোকে ছাত্রদের সঠিক শিক্ষা প্রদান করে থাকে। ছাত্রদের ব্যবহারিক ক্লাসে হাতে-কলমে বাস্তব সম্মত জ্ঞান প্রদান করে থাকে যা তাদেরকে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে সাহায্য করে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়াও শিক্ষার্থীদের সুন্দর জীবন গড়ার জন্য নৈতিক শিক্ষা প্রদানে শিক্ষকদের সর্বদা আগ্রহী।
শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ : “কারিগরি শিক্ষা নিলে দেশ-বিদেশে চাকুরি মিলে।” আর এই কারিগরি শিক্ষার অন্যতম একটি টেকনোলজি হলো ইলেকট্রনিক্স। একজন ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার যেমনভাবে বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার, বিপিডিবি, বাংলাদেশ নেভি, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর মতো সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করতে পারে ঠিক তেমনিভাবে PGCB, EGCB, DESCO, BTCL ইত্যাদির মত স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানেও তাদের ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারে। তাছাড়াও একজন দক্ষ ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার বিদেশেও উচ্চ বেতনে চাকুরি করতে পারে। ইলেকট্রিক্যাল শিক্ষাক্রমে গ্রাজুয়েট, ইলেকট্রিক্যাল বা সমমানের সরকারি চাকুরির পদগুলোতে নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারে। আবার ইচ্ছে করলে উদ্যোক্তা হিসাবে সমাজে সফলভাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে। বর্তমানে ইলেক্ট্রনিক্স টেকনোলজিতে ১৬ জন শিক্ষক ও ১২ জন কর্মচারী নিয়োজিত রয়েছে।
ল্যাবরেটরি বিবরণ :
ইলেকট্রনিক্স বিভাগের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মোট ৩টি অত্যাধুনিক ল্যাব রয়েছে। ল্যাবগুলো হলো :
- ইলেকট্রনিক্স সার্কিট ল্যাব
- এ্যাডভান্স ইলেকট্রনিক্স ল্যাব
- মাইক্রোপ্রসেসর এন্ড ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্স ল্যাব।
- MDEL (Microcontroller & Digital Electronics LAB)
৪র্থ শিল্প-বিপ্লবের তালে তাল মিলিয়ে ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ইলেকট্রনিক্স বিভাগে রয়েছে PLC ট্রেনার সমন্বনিত অত্যাধুনিক ল্যাব। ল্যাবে উল্লেখযোগ্য ট্রেইনারসমূহ হলো-
- Camera Positioned Auto Leveling Tool change Double Layer PCB Maker
- FDM Single Head additive manufacturing center
- PNEUMATICS Training System
- Multiple PLC Trainer
- Mechatronics Training System Hydraulic Training system
- AEL (Advanced Electronics Lab)
বিভিন্ন ধরণের প্রিন্টার আর ডিজিটাল ডিভাইসের সমন্বয়ে তৈরি ALC ল্যাবে। এই ল্যাবের অন্যতম ডিভাইসগুলো হলো-
- ID Card Printer Machine
- ECO Solvent Printer
- Multi-parameter patient Monitor A3 UV Printer
- Laser Cutting Engraving Machine etc.
- ECL (Electronics and Circuit) LAB
বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স ইকুপমেন্ট সমৃদ্ধ ল্যাব হলো ECL ল্যাবে। এই ল্যাবের উল্লেখযোগ্য ইকুপমেন্টগুলো হলো-
- Various DC power supply Function Generator
- Vaccum Cleaner
- 14" colour Television
- Digital Frequency counter * Digital Multimeter
- Logic Trainer Oscilloscope
- Multimeter projector Laser Printer
- Microwave etc.
বিভাগের উচ্চশিক্ষার সুযোগ : ইলেক্ট্রনিক্স বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীরা ইলেকট্রনিক্স এন্ড ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে বা সমমানের ইঞ্জিনিয়ারিং টেকনোলজিতে গ্রাজুয়েশন বা উচ্চতর গবেষণাও করতে পারবে।
কর্মক্ষেত্র : সরকারি প্রতিষ্ঠান যেমন-বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার, বিপিডিবি, বাংলাদেশ নেভি, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ইত্যাদিতে প্রকৌশলী পদে সরাসরি ১০ গ্রেডের নিয়োগসহ বিভিন্ন বেসরকারি কোম্পানিতে রয়েছে উন্নত কর্মব্যবস্থা। স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানেও রয়েছে ক্যারিয়ার গড়ে তোলার সুবিধা । এছাড়াও ইলেকট্রনিক্স-এর জন্য রয়েছে হাই-টেক পার্কে চাকুরীর সুবর্ণ সুযোগ ।
সাফল্য : “বর্তমান যুগ ইলেকট্রনিক্সের যুগ ।” প্রথম ইলেকট্রনিক যন্ত্র ছিল থার্মোনিক ভালভ বা ভ্যাকুয়্যাম টিউব, যার ভিতরের শূন্যস্থানে ইলেকট্রনগুলি ছুটাছুটি করে এবং এটি বেতার, টেলিভিশন, রাডার ও ডিজিটাল কম্পিউটারের মতো উদ্ভাবনগুলির প্রধান নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে। বর্তমানে আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের অধিকাংশ ডিভাইসই হলো ইলেকট্রনিক্স। আমাদের ইলেকট্রনিক্স বিভাগের কৃতী শিক্ষার্থীদের আজ দেশ-বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হতে শুরু করে বিভিন্ন কোম্পানির ম্যানেজার হিসাবে অধিষ্ঠিত আছে এই বিভাগের অ্যালামনাইরা।
সহশিক্ষা কার্যক্রম : শিক্ষার্থীদের বাস্তবিক জ্ঞানবৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতি বছরই আয়োজন করা হয় ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্যুরের। এছাড়াও রয়েছে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন কালচারাল ও সরকারি প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ।